এবারের মার্চ মাসটাকে কীভাবে দেখা হবে? কে কীভাবে দেখবে? উন্মাতাল এই শহরের ফুঁসে ওঠা দেখে শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন ৩ মার্চের ইত্তেফাকের শিরোনাম করেছিলেন ‘বিক্ষুব্ধ নগরীর ভয়াল গর্জন’।
এবার সিডনির বইমেলায়ও মানুষের সমাগম কম হয়েছে। প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত মেলাটিতে ছিল সামান্যসংখ্যক মানুষ। পরদিন রোববার দীর্ঘকালের মেলাটি গতবারের মতো মানুষ টানতে পারেনি। আমি যখন মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে পৌঁছাই, তখন যা দেখেছি তাতে এটা বলা চলে যে মানুষ আগের মতো আসেনি।
কতভাবে যে লুটপাটের পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন চলছে, তার হিসাব কোনো জ্যোতিষী হিসাববিজ্ঞানে পারদর্শী ব্যক্তিও করতে পারবেন বলে মনে হয় না। ২৪ ফেব্রুয়ারি আজকের পত্রিকায় ‘২০০ বছরের মাঠ কেটে পুকুর, উজাড় গাছও’ শিরোনামের খবরটি পড়লে...
ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। বর্তমানে তিনি বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির কারণ এবং প্রতিকার নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন...
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি নতুন উদ্যোগ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট, ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সংকীর্ণতাকে চ্যালেঞ্জ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই দলটি গঠিত হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের নায়কেরা নতুন দল গঠনের মাধ্যমে নবযাত্রার ঘোষণা দেওয়ার আগমুহূর্তে একটি খবর পুরোনো আলোচনাকেই আবার সামনে এনেছে। খবরটি হলো: বাংলাদেশ গণতন্ত্রের সূচকে এক বছরে ২৫ ধাপ পিছিয়েছে।
একাত্তরের যুদ্ধকালের মতো সমষ্টিগত দুঃসময় আমাদের জীবনে আর কখনো আসেনি। যুদ্ধটা ছিল রাজনৈতিক এবং তাতে জাতীয়তাবাদ নানাভাবে ও বিভিন্ন দিক দিয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিল। বাঙালি জাতীয়তাবাদের শক্তি সে সময়ে বিশেষভাবে প্রকাশ পায়, তার দুর্বলতাও যে ধরা পড়েনি এমন নয়। বাঙালির জাতীয়তাবাদের শক্তি ছিল ঐক্যে...
নতুন শিল্পকারখানায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর একটি প্রস্তাবের ওপর আয়োজিত এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক গণশুনানি সব শ্রেণির গ্রাহক প্রতিনিধিদের তীব্র বিরোধিতা ও প্রতিবাদের মুখে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারেনি। গত বুধবার ইস্কাটনের বিয়াম মিলনায়তনে দিনব্যাপী এই গণশুনানির আয়োজন করেছিল বিইআরসি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে গত কয়েক দিনে সামাজিক অপরাধের ব্যাপকতার কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি জনমনে যথেষ্ট আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কথা বলার প্রয়োজন বোধ করছি। সমাজ হলো নাগরিকদের জন্য একটি দায়বদ্ধতার জায়গা। যেখানে মানবিক ও পারস্পরিক সম্পর্কগুলোর প্রতিনিয়ত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার...
রচিত হয়েছিল। এর মধ্যেই নিহিত ছিল এক নতুন রাষ্ট্রের স্বপ্ন ও দিকনির্দেশনা। স্বাধীনতার পর প্রায় পাঁচ দশক পেরিয়ে এলেও সংবিধানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য আজও অপরিসীম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তাও দেখা দিয়েছে। তবে সেই পরিবর্তন বা সংশোধন হবে কীভাবে—এটাই এখন বিতর্কের বিষয়।
ধর্মীয় বিভক্তি এড়াতে হলে রাষ্ট্রের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ চরিত্র জরুরি। কিন্তু বোঝা যাচ্ছে, সম্ভাব্য নতুন দলটি আদর্শের প্রশ্নকে দূরে রাখার কৌশল নিয়েছে। আদর্শগত জায়গায় বড় ফাঁক রেখে কি সুসংহত দল গঠন সম্ভব? এবং আদৌ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গঠন সম্ভব কি না, সেটা বড় প্রশ্ন।
নতুন একটি ছাত্রসংগঠনের জন্ম হলো ২৬ ফেব্রুয়ারি। মানুষের জন্মের সময় যে প্রসব বেদনায় বিদীর্ণ হন মা, সে রকমই এক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে কি আগমন ঘটল এই সদ্য ভূমিষ্ঠ দলটির? নাকি জন্মের সময় যে ঘটনাগুলো ঘটল, সে ঘটনাগুলো এতটাই অনাকাঙ্ক্ষিত যে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার মতো পবিত্র একটি ঘটনার সঙ্গে একে মেলানো ঠিক হবে...
গণ-অভ্যুত্থানের সাত মাসের মাথায় এসে নতুন রাজনৈতিক দল করতে যাচ্ছেন ছাত্ররা। ‘ছাত্ররা’ বললাম এ কারণে যে, এখন পর্যন্ত এ দলের নেতা হিসেবে যাঁদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাঁরা সবাই গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন। দলের নেতৃত্বে কে কে থাকবেন, তা নিয়ে মতবিরোধ কম হয়নি। বাদানুবাদ হয়েছে,..
সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরায় সংঘটিত একটি ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ও মূলধারার মিডিয়া বেশ সরব হয়েছে। তবে সময়ের ব্যবধানে ঘটনাটি নিয়ে দুই ধরনের গল্প প্রচার হয়েছে এবং সেটা বেশ যৌক্তিকতার দোহাইতে, যা সচরাচর হয়ে থাকে। অন্য আর দশটি ঘটনার মতো এখানেও যথেষ্ট ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ ও যুক্তি টেনে দাঁড় করানো হয়েছে...
কয়েক ছত্র
জীবনের প্রথম বোল বাংলা ভাষাতেই ফুটেছিল! তারপর প্রথম প্রজাপতির ডানা মেলা, ফরিংয়ের ডানায় উড়োজাহাজের সুর খুঁজে পাওয়া, মায়ের নামে লেবুর ঘ্রাণ, অজস্র উড়ে আসা চিঠির ফাঁকে হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মুখের হাসি...! এই ভাষাতেই ‘লালন’ মরে গিয়েও ফিরে আসে অন্য প্রজন্মের হাত ধরে ‘কবীর’ নাম নিয়ে আমাদের কাছে...
পৃথিবীর অন্য কোনো ভাষায় এ রকম ব্যত্যয় আছে কি না জানি না। আমাদের দেশেরই গারো সম্প্রদায়ের ভাষায় ‘ধর্ষণ’ বলে কোনো শব্দ নেই। ভাষাটিতে নতুন করে এমন কোনো শব্দ তৈরি হয়নি—এই জনগোষ্ঠীর আবির্ভাবের পর থেকেই—সেটি হাজার বছর হতে পারে, আবার শত বছরও হতে পারে।
বাংলা ভাষার সঙ্গে ইংরেজি বা অন্য ভাষার সংমিশ্রণ, যা আজ আধুনিকতায় পরিণত হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে বাংলা ভাষা বিপর্যয়ের প্রধান কারণ। ভাষা হলো মানুষের মনের ভাব প্রকাশক মৌলিক একক। প্রত্যেক জাতির ভান্ডারে তার স্বতন্ত্র মাতৃভাষা রয়েছে। যে মাতৃভাষায় ভাব প্রকাশ করে সেই জাতির প্রতিটি মানুষ। ভাষার প্রতি ভালোবাসা ব